ঢাকা অফিস:দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে নানা মহলে গুঞ্জন চলছে। ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ছাত্রদল থেকে উঠে অাসা মঞ্জু দীর্ঘ ৪৪ বছর খুলনার বিএনপির রাজনীতিতে একটি ব্রান্ড হয়ে গেছে। খুলনা ২ অাসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তার সাথে দলের কেন্দ্রের সম্পর্কের অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাকে দল থেকে অব্যহতির খবর প্রকাশের পর দুঃখ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদী পোস্ট করেছেন ঢাকাস্থ বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা। মঞ্জুর সাথে দলের এ ধরনের কর্মকান্ডের সমালোচনা করছেন তারা। ঢাকাস্থ বিএনপি বিটের সাংবাদিক ঢাকা টাইমসের প্রতিব্কে বোরহান উদ্দিন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,”বিরোধী দলের রাজনীতি করা সবসময় কঠিন। ৪৪বছর ধরে বিএনপি করা লোকটার পদ আপনারা যারা খেয়ে দিলেন আপনাদের অন্তত রাজপথের এমন কয়টা ছবি থাকলে দেখান”। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিরা। কাজটি সঠিক হয়নি বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুকে।
এর অাগে গত ৯ ডিসেম্বর রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক, তরিকুল ইসলাম জহিরকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে খুলনা মহানগর এবং আমির এজাজকে আহ্বায়ক, আবু হোসেন বাবুকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও মনিরুল হাসান বাপ্পিকে সদস্য সচিব করে খুলনা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এই কমিটি ঘোষণার মধ্যদিয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বাদ পড়েন। নতুন কমিটিতে তাদের কোনো অনুসারীদেরও রাখা হয়নি।
এ ঘটনায় সেখানে নেতাকর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এর দুইদিন পর নজরুল ইসলাম মঞ্জু কয়েকশ নেতাকর্মিসহ সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি পুন:বিবেচনার দাবী জানান। এঘটনায় কেন্দ্র থেকে তাকে শোকজ করা হয়।