ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২’-এ গত ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্মতি দিয়েছেন। তবে এখনো অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়নি। এই আইনে অনুসন্ধান কমিটির কাজের সময় নির্ধারিত রয়েছে ১৫ কার্যদিবস। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১২ দিন পর শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে কার্যদিবস রয়েছে মাত্র সাতটি। এ অবস্থায় কয়েক দিনের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরিতে কতটা সক্ষম হবে—এ প্রশ্ন এখন অনেকের।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটি কবে নাগাদ গঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। রাষ্ট্রপতি এই কমিটি গঠন করবেন। আর নির্বাচন কমিশন গঠনে কিছুটা বিলম্ব হলেও সমস্যার কিছু নেই। ’
নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আইন প্রণয়নের পর অনুসন্ধান কমিটি কেন গঠন করা হচ্ছে না, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ও কৌতূহল আছে। তবে অনুসন্ধান কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দেরি হলেও সমস্যা নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনো নির্বাচনও বাকি থাকছে না। ’
অধ্যাপক তোফায়েল বলেন, মনে হচ্ছে নিয়োগ দিলে কম বিতর্ক হয় এমন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য উপযুক্ত লোক এখনো পাওয়া যায়নি। ’