প্রতিদিন ডেস্ক
বরগুনার বেতাগীর বিষখালী নদীতে মিলেছে বিরল প্রজাতির এক মাছ। মঙ্গলবার সকালে (৮ ফেব্রুয়ারি) মাছ ধরার সময় জয়নাল আবেদীন (৫১) নামের এক জেলের জালে আটকা পড়ে মাছটি। স্থানীয়রা এটিকে বলছেন ‘টাইগার মাছ’। তবে মাছটির আসল নাম ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ’।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটি একটি বিদেশি মাছ। সাকার মাউথ ক্যাটফিস ইংরেজি নাম হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইপোস্টমাস। মাছটি লরিকেরিয়েডি পরিবারভুক্ত। সাধারণত এই জাতীয় মাছগুলো মুখ দিয়ে চুষে খাবার খায়। বিভিন্ন দেশে এটি অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পানির তলদেশে বাস করে এবং শেওলা জাতীয় উদ্ভিদ খায়। স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির মিঠা পানিতে বাস করে মাছটি।
মঙ্গলবার ভোরে বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীতে মাছ ধরার সময় জালে আটকা পড়ে মাছটি। শরীরে বাদামি রঙ এবং ছোট কালো রঙের বিন্দু বিন্দু ছাপ রয়েছে। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে স্থানীয় লোকজন এর নাম দিয়েছেন টাইগার মাছ। কয়েক মাস আগেও একই প্রজাতির আরও একটি মাছ ধরা পড়েছিল এ নদীতে।
সকালে স্থানীয় জেলে জয়নাল আবেদীন এ মাছ ধরে পুটিয়াখালী বাজারে আসেন। নদীতে সাধারণত এমন মাছ মেলে না। তাই ‘অদ্ভুত’ এ মাছটি নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
মাছটি ১৬ ইঞ্চি লম্বা ও ১ কেজি ৫০ গ্রাম ওজনের। এ মাছ ধরার খবর পেয়ে স্থানীয় উৎসুক জনতা এসে ভিড় জমায়। জেলে জয়নাল আবেদীন জানান, বিষখালী নদীতে বেশ কিছু পোমা ও ইলিশ মাছ পান তিনি। এর সঙ্গে বিরল প্রজাতির এ মাছটি পেয়ে খুশি। পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে এটি ৩ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে।
পুটিয়াখালীর স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী জানান, এমন মাছ দেখে আমি প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। কারণ এর আগে এ ধরনের মাছ দেখিনি এবং মাছের নামটিও জানা ছিল না।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন,‘সাকার’ নামের বিরল প্রজাতির মাছটি বন্যার পানিতে বা কোথাও থেকে ভেসে এসেছে। মাঝে মাঝে এ ধরনের মাছ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়।