সোহাগ দেওয়ান//
দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক সিংহ পুরুষ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ তালুকদার আব্দুল খালেক। তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অনেক প্রসংশনীয়। বয়সের ভারে শারীরিক অসুস্থ্যতাও যেনো হার মানে অদম্য এ প্রবীন রাজনীতিবিদের কাছে। ৭০ বছর বয়সেও খুলনা মহানগর এলাকা থেকে মংলা, রামপালের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় দলীয় কর্মকান্ডে তার পদচারনা দেখা যায়।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার ছিলেন। এরপর বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসন থেকে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১/১১ সরকারের সময় নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে পরাজিত হলেও সর্বশেষ ২০১৮ সালে পুনরায় তিনি সিটি মেয়র নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে রাজনীতির মাঠের পুর্বসুরিদের মতোই বয়সের ভাড়ে ও শারীরিক অসুস্থতার কারনে একদিন প্রতেককেই অবসর নিতে হয়। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রবীন রাজনীতিবিদ তালুকদার আব্দুল খালেক শারীরিক অসুস্থতায় ভূগছেন। গত বছর প্রস্টেট গ্ল্যান্ড রোগে কারনে তিনি বেশ কিছুদিন হাসপাতাল এবং বাসায় চিকিৎসাধিন ছিলেন। অপারেশন হওয়ায় তিনি সেই থেকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থাতেই থাকছেন।
অফিসসহ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও তাকে ওই পোশাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আবারও গেলো ৭মে প্রচন্ড জ্বর নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ৮ মে বিকেলে শহীদ শেখ বিষেশায়িত হাসপাতাল থেকে এয়ার এম্ব্যুলেন্সযোগে প্রবীন এ রাজনীতিবিদকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। শোনা যাচ্ছে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হতে পারে।
প্রবীন রাজনীতিবিদ তালুকদার আব্দুল খালেকের অবর্তমানে কার হাতে যাবে শীর্ষ এ পদটি ? অর্থাৎ বয়সের ভাড় ও শারীরিক অসুস্থ্যতা জনিত কারনে যদি তিনি অবসর নেন সেক্ষেত্রে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন কে? এবং আগামীতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীই বা কে হবেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
তবে এবিষয়ে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনের কেউই কোন মন্তব্য না করে সকলেই এ প্রবীব রাজনৈতিক অভিভাবকের সুস্থ্যতা কামনা করছেন।