নিজস্ব সংবাদদাতা:সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট এলাকায় গত ১২ জানুয়ারি এক নারীসহ দুইজন কে দিনে দুপুরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টার ওই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার অাসামিকে সোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টার সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সাংবাদিকের নাম মোঃ সরওয়ার। অাজ ১৫ জানুয়ারি র্যাব ৬ ‘র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ মোস্তাক অাহমদ এ বিষয়টি জানিয়েছেন। র্যাব ৬ ‘র সাতক্ষীরা কোর্ট এলাকায় এক নারীসহ দুইজন কে দিনে দুপুরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার
ঘটনাটি এলাকায় বিশেষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এই চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা কি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এই হত্যাচেষ্টার সাথে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতাসহ আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ওই মামলার নজরুলকে মোটরসাইকেলে নিয়ে সরওয়ার নামে জনৈক ব্যক্তি পলায়নের চেষ্টা করছে। এসময় সরওয়ারের মোটর সাইকেলে আরোহী অবস্থায় উক্ত আসামী নজরুলকে ১৩জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে খুলনা মোড় এলাকা থেকে আটক করে র্যাব।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং উক্ত মামলার আসামি নজরুল প্রাথমিকভাবে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করায় তাকে নিকটস্থ থানায় হস্থান্তর করা হয়।
অন্যদিকে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর সরওয়ারের সাথে উক্ত অপরাধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দিনে দুপুরে কোর্ট এলাকায় কুপিয়ে জখম করার মত অপরাধের আসামীকে পলায়নের সহায়তা করার বিষয়ে তার ভূল বুঝতে পারায় দেশের সম্মানীত সাধারণ নাগরিকের ন্যায় সরকারি কাজে তথা তদন্তের কাজে সহায়তা করবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করে। র্যাব ক্যাম্প সাতক্ষীরায় রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১টার দিকে তিনি চলে যান।
পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মামলার ১নং আসামী ফজর আলী এবং আসামী নজরুল সাংবাদিক সরওয়ারের নিকটতম আত্নীয়। সেও উক্ত ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত বিধায় স্থানীয় ও অন্যান্য সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে র্যাব এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ঘৃণ্যঅপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
র্যাবের মত একটি এলিট, পেশাদার, নিমোর্হ, প্রযুক্তি সম্পন্ন ও জনগণের আস্থার প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার হীন মানসিকতায় একটি কুচক্রীমহল সর্বদাই কুৎসা রটানোর অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
র্যাব সুত্র অারও জানায়, নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একটি কুচক্রী মহলএটিকে একটি তুচ্ছ ঘটনা বলে জনমনে অপ্রপচার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এরূপ গুরুতর অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত এবং তাদের মনোবলের আঘাত সৃষ্টি করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এরূপ অপপ্রচারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুরুতর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে নিরুৎসাহিত হয়। এবং দেশের সাধারণ ও নির্যাতিত মানুষ সঠিক বিচার না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কে তুচ্ছ ঘটনা এবং সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে মর্মে স্থানীয়ভাবে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা সর্বৈভভাবে মিথ্যা, বানোয়াট , বেআইনী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উপরন্ত, এই অপপ্রচার উক্ত ঘটনায় সত্য উদঘাটনে ও বিচার প্রক্রিয়াকে দারুনভাবে বাধাগ্রস্থ করায় ক্ষতিগ্রস্থ ও আহত নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার পথকে অমসৃন করছে।