নিজস্ব সংবাদদাতা:আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন খুলনার চিকিৎসক নেতা ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ। তিনি অাজ ১৪ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু দেয়া হলো। নিচে:
আমেরিকা,বাংলা দেশের জন্ম লগ্ন থেকে কখনোই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি ছিল এই আমেরিকা। ওদের যে সরকারই আসুক না কেন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী তারা কেউই বাংলাদেশের বন্ধু হবেনা। কেননা স্বাধীনতা পূর্বে থেকেই তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং এখনো পর্যন্ত করে যাচ্ছে। আমরা দেখেছি কোন একটি বিশেষ দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য ড্যান মজিনার এবং তার পূর্ববর্তী আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের কি লাফালাফি। তারা নির্বাচনের পূর্বে ভারত এবং চীন সফর করেছিল। চিন এ গিয়ে কিছুটা আশার বাণী শুনেছিল কিন্তু ভারতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছে। কোন লাভ হয়নি। আবার এই ড্যান মজিনাকে বলতে শুনেছি বাংলাদেশ সরকারের সাথেই তার সরকার আছেন। এবং অনেক প্রশংসা বাক্য প্রথম আলো ঘাটলে আপনারা পেয়ে যাবেন। আবার যখন মোদি সরকার ক্ষমতায় আসলো অর্থাৎ কংগ্রেসের পতন হলো, ঠিক সেই সময়ই ওই বিশেষ দল আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠলো। মনে হল তারাই যেন ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু মোদি কি বললেন,, “বললেন আপনার বাবা দেশকে বানিয়েছে আর আপনি দেশকে গঠন করছেন ” আমার সরকার সবসময় আপনাদের সাথে আছে এবং থাকবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জাত শত্রু জাত শত্রুই। তার অবস্থানের পরিবর্তন কখনোই হবে না। আমি জানতে চাই (পৃথিবীতে আমেরিকার বন্ধুকে?) স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে যারা আমাদের বন্ধু ছিল তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বন্ধু সবসময়ের জন্যই বন্ধু। শত্রু সবসময়ই শত্রু। সবসময়ই শত্রুর কাছে থাকবে আপনার ক্ষতি করার। এই শত্রুকে নিয়ে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। ওরা যখনই যে সুবিধা পাবে তখনই সেই সুবিধা নিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। ট্রাম্প ও বাইডেনের নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচন-পরবর্তী আমরা দেখেছি আমেরিকায় গণতন্ত্র বলতে কি আছে।? মনে আছে আপনাদের সে ক্যাপিটাল হিল অবরোধের কথা? যা পৃথিবীর কোন সভ্য দেশ কল্পনাও করতে পারে না? একটু পিছনে ফিরে তাকান, তাহলে ওদের গণতন্ত্র বুঝতে পারবেন? আমেরিকায় বিচারবহির্ভূতভাবে প্রতিদিন কতজন খুন হয় তার হিসাব কি কেউ রাখেন? একটু হিসাব করবেন। আমেরিকার জানা উচিত র্যাব এর মত বাহিনী কারা ক্ষমতায় থাকতে গঠন করা হয়েছিল। কি জন্য গঠন করা হয়েছিল? জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।