বিশেষ প্রতিনিধি: জামালপুরের একজন শিক্ষা কর্মকর্তাকে চর মেরে পৌর মেয়র, দলীয় পদ হারিয়ে অবশেষে অাজ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাহ নেওয়াজ শাহান শাহ। অথচ মংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিকের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মামলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত অধরা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি এতে করে ওই এলাকার সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে বাড়ছে ভয় ও অাতঙ্ক।
অভিযোগ রয়েছে মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিকের হাতে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে। ভয়ে কেউ কখনও অভিযোগ না করলেও এবার একইসাথে ৩/৪জনকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে বেপরোয়া ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
ওই এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যারা গনমাধ্যমকর্মিদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পরে আরও মারমুখি অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছেন। মল্লিক জাহাঙ্গীর মংলার থানা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা অহেদুজ্জামান মুরাদের আপন ভাগ্নে।
গত ১৮ডিসেম্বর সকালে ওই এলাকার পান্না মন্ডলের ছেলে তুফান মন্ডল রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে সালাম না দেয়ায় তাকে বেদমভাবে মারপিট করেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। তুফান মন্ডলকে ছাড়াতে এসে তার বাবা পান্না মন্ডলসহ আরও ৩/৪জন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে তুফান মন্ডলের অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এঘটনায় ২০ডিসেম্বর মংলা থানায় ৭জনের নামে মামলা হলেও আসামিদের গ্রেফতার করছেন না থানা পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ করছেন ওই এলাকার নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারের শত শত সদস্যরা।
এবিষয়ে মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মিঃ মনিরুল ইসলাম খুলনা প্রতিদিনকে বলেন, দুই পক্ষের মামলা রেকর্ড হয়েছে। এজাহারভুক্ত অাসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।