আদালত প্রতিবেদক:বিএনপি’র চেয়ার পারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসুচীকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৪জানুয়ারী দুপুরে জামিন নিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। সকাল থেকেই শত শত নেতাকর্মিদের জমায়েত হয় খুলনার আদালত প্রাঙ্গণে।
একদিকে জেলা ও মহানগরের বর্তমান আহবায়ক কমিটির শীর্ষ নেতা শফিকুল আলম তুহিন, আমির এজাজ খান, মনিরুল ইসলাম বাপ্পিসহ অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মি আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সদ্য অব্যহতি পাওয়া নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক কেসিসি মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মি একই স্থানে উপস্থিত হন। তবে সেখানে তাদের মধ্যে কোন প্রকার উত্তেজনা দেখা যায়নি। মামলার জামিন শুনানীর পর পৃথকভাবে দুটি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে চলে যান সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ ও তাদের অনুসারিরা।
বিএনপি’র চেয়ার পারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসুচীকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। পুলিশ বাদি হয়ে গত ২২ নভেম্বর খুলনা সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন (নং ৩৬ ও ৩৭)। দুটি মামলায় ৪৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ নেতাকর্মিকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন নেতাকর্মিরা। উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করা হয়। খুলনার সিএমএম মোঃ ইয়ারব হোসেন তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দল থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। গত ৯ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতেও রাখা হয়নি মঞ্জুকে।