নিজস্ব প্রতিবেদক//
খুলনা নগরীর বয়রা এলাকার মোটরগ্যারেজ মালিক ব্যবসায়ী মোঃ বিপ্ল¬ব’র মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। খুলনার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী এড.তমাল কান্তি ঘোষ গতকাল রবিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনী থেকে জানা গেছে, মোটরগ্যারেজ মালিক ব্যবসায়ী মোঃ বিপ্ল¬ব গত ৭ মে রাত দেড়টার দিকে মারা যান। ঢাকায় অবস্থানরত তার ছেলে মেহেদী হাসান তুহিনকে মোবাইলে গ্যারেজের এক কর্মচারী জানান তার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ওই কথা শুনে সে পরদিন সকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা করে দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনায় আসেন। তিনি যখন খুলনায় বাবার বাড়িতে আসেন তখন গোয়ালখালী কবরস্থানে লাশ দাফনের সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে।
তার অনুপস্থিতিতে মৃত বাবার দাফন, জানাযা সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদনও করা হয়। যিনি ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি বাদীর পরিবারের কেউ নন। তাছাড়া বাদী লোকমুখে শুনেছেন মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল ও জিহ্বা বের হয়ে ছিল। বাদীর বাবা মারা যাওয়ার পর সকালে গ্যারেজ থেকে তাঁর মোবাইল, মোটরসাইকেল ও গ্যারেজের কাগজপত্রও নিয়ে আসেন আসামিরা। এসব কারণে বাদীর সন্দেহ হয়েছে তাঁর বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী বিপ্ল¬বের ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন গত ২২ মে পিতার হত্যার অভিযোগে খুলনার নালিশী আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিবাদীরা হলেন- হাজী মহসিন রোড এলাকার মুনিয়া বেগম, খালিশপুরের কাশিপুর মালা গ্যারেজ মোড় এলাকার শেখ নাজমুল ও তাঁর মা রেবেকা বেগম, হাজী মহসিন সড়কের মোঃ মানিক শেখ, বিএল কলেজ রোড এলাকার মোঃ মুছা শেখ ও কে এম আব্দুল¬াহ। ২৪মে শুনাণী শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ। সিআর খুলনা- ৯০৮/২২ এ মামলাটি আগামী ৭আগস্ট পরবর্তি তারিখ নির্ধারন করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম বিপ্লবের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৩ জুন আদালতে আবেদন করেছিলেন।