নিজস্ব প্রতিবেদক//
খুলনা মহানগরীতে মন্দিরা মজুমদার নামের এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন মজিদ সরনী রোডের খোকন সাহের গলির একটি বাড়ী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মন্দিরা মজুমদার ওই এলাকার প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে । তিনি ২০২১ সালে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামতাজুল হক।
নিহত মন্দিরা মজুমদারের বাবা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়।’
‘তখন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের সাথে আমার মেয়ের পরিচয় হয়।’
‘এই সম্পর্কের জেরে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাত্রী যাপন করে।’
‘পরবর্তীতে আমার মেয়ে জানতে পারে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের আগে বিয়ে হয়েছে। পরে আমার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।’
‘পরবর্তিতে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে সে জীবন নাশের হুমকী দিতে থাকে। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে।’
ওসি মামতাজুল হক, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
‘মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের মোবাইলে নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলে তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে। ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের অভিযুক্ত হলে তার শাস্তি হবে।’
খুমেক হাসপাতালের আরএমও’র প্রেমের বলি নারী চিকিৎসক!
